আজ শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১১ দফা দাবী আদায়ে নৌ-যান শ্রমিকদের মানববন্ধন

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

নৌ-যান শ্রমিক, কর্মচারী ও নাবিকদের খোরাকী ভাতা, ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল সিলিয়াল অনুযায়ী চট্টগ্রাম সমুদ্রগামী লাইটারেজ জাহাজ চলাচল, কর্মস্থলে দূর্ঘটনায় নৌ-শ্রমিকদের মৃত্যুকালীণ ক্ষতিপূরণ ও শ্রমিকদের উপর সকল প্রকারের জুলুম নির্যাতন বন্ধসহ মোট ১১ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক (মাস্টার) সবুজ সিকদার, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি আলমগীর কবির বকুল, জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক চুন্নু মাস্টার, মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের জুয়েল প্রধান, সহ-সভাপতি মিশাল প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নৌ পথে জাহাজী শ্রমিকরা এদেশের আমদানী রপ্তানীর ক্ষেত্রে নৌ-পথে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে। এই মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্যেও জীবেনের ঝুকি নিয়ে নৌ-পথে জাহাজ চলাচল সচল রেখে দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ একটি শক্তিশালী অবস্থানের দ্বার করার কাজে একনিষ্ঠ ভুমিকা পালন করে আসছে।

অগ্রগতির যাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য নৌ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু জাহাজ মালিক নৌ-আইন না মেনে অপকৌশলের মাধ্যমে (ডঞঈ) এর সিরিয়াল বিহীন জাহাজ চালিয়ে নৌ-শিল্পকে ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত হয়েছে। মালিকদের এ অপকৌশল মানতে শ্রমিকদের বাধ্য করা হয়। ফলে অনেক জাহাজের মাষ্টারদের নামে নৌ-আইনের মামলা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্যবসায়িকভাবে কিছু জাহাজ মালিকরা লাভবান হচ্ছে। আর মামলা মোকদ্দমার ঘানি টানতে হচ্ছে আমাদের শ্রকিদের।

তারা আরো বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের প্রটোকল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একতরফাভাবে ভারত বাংলাদেশের জাহাজী শ্রমিকদের উপরে নির্যাতন-জুলুম চালাচ্ছে। পানের থেকে চুন খসলেই গ্রেফতার করে শ্রমিকদের কারাগারে নিক্ষেপ করছে। শ্রমিকদের স্বাধীণতা বলতে কিছুই নেই। অসুস্থ হলে চিকিৎসার অভাবে মারা যায় শ্রমিকরা। কিন্তু এতো কষ্টের পরও ঠিকমতো বেতন না পেয়ে মালিকদের নানা হয়রানির মুখে পরে চাকুরী চলে যাচ্ছে।

এ অবস্থা চলমান থাকলে সারাদেশে প্রায় ২০,০০০ বালুবাহী বাল্কহেডের শ্রমিকদের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছাতে বেশিদিন সময় লাগবে না বলেও জানান তারা। তাই আমরা কিছু দাবী উত্থাপন করেছি, যা মেনে চলছে শ্রমিক, কর্মচারী ও মালিক সকলেই উপকৃত হবে এবং শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ